শতবর্ষীদের গ্রাম
প্রতিক্ষণ ডেস্ক:
ইতালির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল কাম্পানিয়ায় সালেরনো প্রদেশের পল্লিকা শহরে অবস্থিত আচ্চারোলি গ্রাম। সাত শতাধিক জনগোষ্ঠীর এই গ্রামটি বয়সে শত বছর পার করা ব্যক্তিদের কারণে এখন পরিচিত বিশ্ব জুড়ে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, আচ্চারোলি গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে প্রতি ১০ জনে ১ জন শতবর্ষ পার করেছেন।
শতবর্ষীদের এই গ্রামে ছয় মাস কাটানোর পর রোমের সাপিনেজা বিশ্ববিদ্যালয় ও স্যানডিয়েগো স্কুল অব মেডিসিনের বিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন, স্বাভাবিকভাবে ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী তরুণদের দেহে যে পরিমাণ অ্যাড্রেনোমেডুলিন হরমোন থাকে, আচ্চারোলির বয়স্ক লোকদের দেহেও তা প্রায় একই পরিমাণ রয়েছে ।
আচ্চারোলি গ্রামের বাসিন্দারা খাদ্য তালিকায় রয়েছে স্থানীয়ভাবে ধরা মাছ, গৃহপালিত খরগোশ, মুরগি, জলপাইয়ের তেল, বাড়িতে লাগানো সবজি, ফল, চিরহরিৎ রোজমেরিসহ স্থানীয় নানা গুল্ম।
স্যানডিয়েগোয় ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার স্কুল অব মেডিসিনের হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যালান মাইসেল বলেন, ‘বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রমাণিত, মস্তিষ্কের উন্নয়নে অ্যাসিড সহায়ক ভূমিকা পালন করে। আচ্চারোলি গ্রামের বাসিন্দাদের খাবারে এই উপাদান যথেষ্ট। আমরা দেখেছি, তারা জটিল কোনো রোগ, বিশেষ করে হৃদ্রোগ, স্থূলতা ও আলঝেইমারে আক্রান্ত হয় না। এমনকি তাদের চোখে ছানিও পড়ে না।’
অ্যালান মাইসেল আরও বলেন, খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত ব্যায়াম ছাড়া আচ্চারোলি গ্রামের মানুষের দীর্ঘায়ুর আরও কারণ থাকতে পারে। ‘আমরা খেয়াল করেছি, ওই গ্রামের মানুষরা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বয়সেও সঙ্গিনীর সঙ্গে মিলিত হয়। কাজেই জীবনের আনন্দ আর নির্মল বায়ুও হয়তো এই দীর্ঘায়ুর কারণ।’
প্রতিক্ষণ/এডি/এস.আর.এস